সারাংশ: স্ত্রীলোকদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নাই

অনেকে বলেন, স্ত্রীলোকদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নাই

সারাংশ: স্ত্রীলোকদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নাই

প্রদত্ত অনুচ্ছেদ

অনেকে বলেন, স্ত্রীলোকদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নাই। মেয়েরা চর্বচোষ্য রাঁধিতে পারে, বিবিধ প্রকার সেলাই করিতে পারে, দুই-চারিখানা উপন্যাস পাঠ করিতে পারে, ইহাই যথেষ্ট, আর বেশি আবশ্যক নাই। কিন্তু ডাক্তার বলেন যে, আবশ্যক আছে, যেহেতু মাতার দোষ-গুণ লইয়া পুত্রগণ ধরাধামে অবতীর্ণ হয়। এইজন্য দেখা যায় যে, আমাদের দেশে অনেক বালক শিক্ষকদের বেত্রতাড়নায় কণ্ঠস্থ বিদ্যার জোরে এফএ, বিএ পাস হয় বটে; কিন্তু বালকের মনটা তাহার মাতার সহিত রান্নাঘরেই ঘুরিতে থাকে।

উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৫টি সারাংশ দেওয়া হল:

সারাংশ লিখন →১

যারা নারীদের চার দেয়ালে বন্দি রাখার পক্ষে তারা মনে করে যে নারীদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সন্তান যেহেতু মায়ের দ্বারা প্রভাবিত হয় সেহেতু নারীদের উচ্চশিক্ষা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে মায়ের ক্ষুদ্র গন্ডিতে সন্তানের মনও আবদ্ধ থাকবে। হয়ত সে উচ্চশিক্ষা লাভ করবে ঠিকই কিন্তু তার মন প্রসার লাভ করবে না।

সারাংশ লিখন →২

অনেকে মনে করেন নারীদের জন্য ঘরকন্যার কাজ জানাই যথেষ্ট, উচ্চশিক্ষা প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাস্তবে সন্তান তার মায়ের প্রভাবে গড়ে ওঠে, তাই সমাজে শিক্ষিত মায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

সারাংশ লিখন →৩

নারীদের কেবল রান্না ও সেলাই জানলেই চলবে—এই ধারণা ভ্রান্ত। সন্তান যেন প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে, এজন্য মায়ের উচ্চশিক্ষা আবশ্যক।

সারাংশ লিখন →৪

যারা নারীদের শিক্ষার প্রয়োজন অস্বীকার করেন, তারা ভুলে যান যে সন্তান প্রথম শিক্ষালাভ করে মায়ের কাছ থেকে। তাই মাতার মানসিক প্রসারই সন্তানের মানসিক বিকাশের প্রথম ধাপ।

সারাংশ লিখন →৫

নারীদের শিক্ষা সীমিত রাখার চিন্তা সন্তানের ভবিষ্যৎকে সীমাবদ্ধ করে। কারণ, সন্তান মায়ের মানসিকতা ও জ্ঞানের প্রতিফলন—তাই উচ্চশিক্ষিত মায়ের প্রভাবেই শিশুর মন গঠিত হয়।