সারাংশ: অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময় হইয়াছে

অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময় হইয়াছে

সারাংশ: অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময় হইয়াছে

প্রদত্ত অনুচ্ছেদ

অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময় হইয়াছে। অভাব না থাকিলে জীব-সৃষ্টি বৃথা হইত। অভাব আছে বলিয়া অভাব-পূরণে এত উদ্যোগ। সংসার অভাবক্ষেত্র বলিয়া কর্মক্ষেত্র। অভাব না থাকিলে সকলেই স্থানু-স্থবির হইত, মনুষ্যজীবন বিড়ম্বনাময় হইত। মহাজ্ঞানীগণ অপরের অভাব দূর করিতে সর্বদা ব্যস্ত। জগতে অভাব আছে বলিয়াই মানুষ সেবা করিবার সুযোগ পাইয়াছে। সেবা মানবজীবনের পরম ধর্ম। সুতরাং অভাব হইতেই সেবাধর্মের সৃষ্টি হইয়াছে। আর এই সেবাধর্মের দ্বারাই মানুষের মনুষ্যত্বসুলভগুণ সার্থকতা লাভ করিয়াছে।

উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৪টি সারাংশ দেওয়া হল:

সারাংশ লিখন →১

অভাব মানুষকে কর্মের পথে চালিত করে জগতকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। অভাব আছে বলেই মানবজীবন চলমান। এ অভাব থেকেই সেবাধর্ম উৎপত্তি লাভ করেছে। অপরের অভাব পূরণের ইচ্ছা এবং তা বাস্তবে রূপ দেওয়ার মধ্য দিয়েই মানুষ মহান হয়ে ওঠে।

সারাংশ লিখন →২

অভাব মানবজীবনের অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। এটি মানুষকে কর্মঠ করে তোলে এবং সেবার সুযোগ তৈরি করে। এই সেবাধর্মই মনুষ্যত্বের প্রকৃত রূপ।

সারাংশ লিখন →৩

জগতে অভাব থাকাতেই মানুষ কর্ম ও সেবার সুযোগ পায়। এই অভাবই জগৎকে বৈচিত্র্যময় এবং মানবজীবনকে গতিশীল করেছে।

সারাংশ লিখন →৪

অভাব মানব সমাজে কর্ম, সেবা এবং সহানুভূতির সৃষ্টি করে। অভাব না থাকলে জীবন নিস্তেজ ও অর্থহীন হয়ে পড়ত।