সারাংশ: অনেকের ইন্দ্রিয় সংযত, তাঁহাদের চিত্ত শুদ্ধ নয়

অনেকের ইন্দ্রিয় সংযত, তাঁহাদের চিত্ত শুদ্ধ নয়

সারাংশ: অনেকের ইন্দ্রিয় সংযত, তাঁহাদের চিত্ত শুদ্ধ নয়

প্রদত্ত অনুচ্ছেদ

অনেকের ইন্দ্রিয় সংযত, তাঁহাদের চিত্ত শুদ্ধ নয়। ইন্দ্রিয়-সুখ ভোগ করব না, কিন্তু আমি ভালো থাকব এবং আমার ইন্দ্রিয়গুলো ভালো থাকবে এই বাসনা তাদের মনে প্রবল। আমার ধন হউক, আমার মান হউক, আমার সম্পদ হউক, আমার সৌভাগ্য হউক, আমি বড় হই, আর সবাই আমার চেয়ে ছোট হউক, তাঁরা এরূপ কামনা করেন। এই সকল অভীষ্ট যাতে সিদ্ধ হয়, তাঁরা চিরকাল সেই চেষ্টায় সেই উদ্যোগে ব্যস্ত থাকেন। সেই জন্য না করেন এমন কাজ নেই, তদ্ভিন্ন মন দেন এমন বিষয় নেই। যারা ইন্দ্রিয়াসক্ত তাদের অপেক্ষাও এরা নিকৃষ্ট। এদের নিকট ধর্ম কিছুই নয়, জ্ঞান কিছুই নয়, ভক্তি কিছুই নয়। তাঁরা আল্লাহকে বাহ্যত মানেন বটে, কিন্তু কার্যত তাঁদের ধর্ম বলে কিছুই নেই। কেবল আপনি আছেন, আপনি ভিন্ন আর কিছুই নেই। ইন্দ্রিয়াসক্তি অপেক্ষাও এই স্বার্থপরতা চিত্ত-শুদ্ধির অন্তরায়। পরার্থ ভিন্ন চিত্ত-শুদ্ধি নেই।

উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৪টি সারাংশ দেওয়া হল:

সারাংশ লিখন →১

জীবনকে সার্থক করে তুলতে হলে কেবল ইন্দ্রিয়াসক্তি থেকে মুক্ত হলেই চলবে না মনকেও শুদ্ধ করে তুলতে হবে। যাদের ইন্দ্রিয় সংযত কিন্তু মন শুদ্ধ নয় তারা নিজ স্বার্থের জন্য সব কিছুই করতে পারে। বাইরে নিজেদের ধার্মিক বলে পরিচয় দিলেও ধর্মের মূল যে কথা পরোপকার তা থেকে তারা অনেক দূরে। সেই মানুষই সার্থক যার ইন্দ্রিয় সংযত, মন শুদ্ধ এবং পরার্থ চিন্তাই যার ব্রত।

সারাংশ লিখন →২

শুধু ইন্দ্রিয় সংযম করলেই মানুষ ভালো হয় না, মনকেও শুদ্ধ করা দরকার। কেউ কেউ বাহ্যিকভাবে ধার্মিক দেখালেও ভেতরে শুধু নিজের ভালো চায়। আসল ধর্ম হলো পরের উপকারে নিজেকে উৎসর্গ করা।

সারাংশ লিখন →৩

মানবজীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত পরার্থে নিজেকে নিয়োজিত করা। যারা ইন্দ্রিয় সংযম পালন করেও আত্মকেন্দ্রিক, তারা প্রকৃত ধর্ম বা জ্ঞান লাভ করতে পারে না। মন যদি শুদ্ধ না হয়, তবে বাহ্যিক ধর্মাচরণ অর্থহীন।

সারাংশ লিখন →৪

আত্মসংযমই যথেষ্ট নয়; মনকে পরিশুদ্ধ করাও জরুরি। যারা নিজেদের স্বার্থে সবকিছু করে, তারা প্রকৃত ধার্মিক হতে পারে না। প্রকৃত ধার্মিক সেই, যে নিজের জন্য নয়, বরং অপরের মঙ্গলের জন্য বাঁচে।

সারাংশ লিখন →৫

ইন্দ্রিয়সংযম একটি স্তর, কিন্তু চিত্তশুদ্ধি তার চেয়েও গভীর। যারা কেবল বাহ্যিক ধর্ম পালন করে কিন্তু অন্তরে স্বার্থপর, তারা আত্মিক উন্নতির পথে বাধা। প্রকৃত শান্তি ও মুক্তি আসে নিঃস্বার্থভাবে অপরের জন্য ভাবনায় নিজেকে নিয়োজিত করলে।