বাংলা শব্দভাণ্ডার ও বাংলা শব্দের উৎস | বাংলা ব্যাকরণ
বাংলা শব্দভাণ্ডার ও বাংলা শব্দের উৎস
শব্দের একক হচ্ছে ধ্বনি । এক বা একাধিক ধ্বনি মিলিত হয়ে কোনো অর্থ প্রকাশ করলে তাকে শব্দ বলে । বাংলা ভাষায় এক লাখেরও বেশি শব্দ রয়েছে । এর সব শব্দ প্রথম থেকে ছিল না । কালে কালে নতুন শব্দ তৈরি হয়ে এবং নানা ভাষা থেকে শব্দ আত্মীকরণের মাধ্যমে বাংলা ভাষার শব্দসম্ভার সমৃদ্ধ হয়েছে । জন্মের কালেই এতে প্রচুর সংস্কৃত শব্দ ঢুকেছে । কিছু ঢুকেছে অবিকৃত অবস্থায় , কিছু সামান্য বিকৃত হয়ে , আর কিছু ঢুকেছে প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে , বদলাতে বদলাতে । প্রায় ছয় শ ' বছর ধরে মুসলিম শাসনের সময় হাজার হাজার আরবি - ফারসি শব্দ এ ভাষায় স্থান করে নিয়েছে । এরপর ইংরেজদের শাসনের সময় অনেক ইংরেজি শব্দ এতে গৃহীত হয় । বাংলা ভাষার জন্মের সময় আশপাশের ভাষার কিছু কিছু শব্দও স্বাভাবিকভাবেই এতে ঢুকে পড়ে । বর্তমানে বিশ্বায়নের প্রভাবে অনেক নতুন শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটছে বাংলায় । ফলে দিনে দিনে আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে এর শব্দসম্ভার ।
উৎস বিচারে বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারকে পণ্ডিতেরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন : ১. তৎসম শব্দ , ২. অর্ধতৎসম শব্দ , ৩. তদ্ভব শব্দ , ৪. দেশি শব্দ , ৫. বৈভাষিক শব্দ ।
তৎসম শব্দ
যেসব সংস্কৃত শব্দ মূল সংস্কৃত বানান অপরিবর্তিত রেখে বাংলায় গৃহীত হয়েছে তাদের তৎসম শব্দ বলে । ' তৎসম ' একটি পারিভাষিক শব্দ । এখানে ' তৎ ' অর্থ ‘ তার ' , অর্থাৎ সংস্কৃতের । ‘ সম ' অর্থ ‘ সমান ' , অর্থাৎ লেখ্যরূপ অভিন্ন । এ ধরনের শব্দের উদাহরণ : কর্ম , গুণী , জন্ম , দ্রব্য , ধর্ম , নদী , চন্দ্র , সূর্য , গ্রহ নক্ষত্র বৃক্ষ , কন্যা , সন্ধ্যা , পুষ্প , পাত্র , ভবন , মনুষ্য , রক্ত , রাত্রি , শিক্ষা হৃদয় ইত্যাদি । বাংলা ভাষায় শতকরা প্রায় ৪৪ টি শব্দ তৎসম ।
মনে রাখা দরকার : ‘ তৎসম ' শব্দের লেখ্যরূপ বা বানান সংস্কৃতের মতো হলেও উচ্চারণ সব জায়গায় সংস্কৃতের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না । যেমন : সংস্কৃতে ‘ লক্ষ্মী ' শব্দের মূল উচ্চারণ ‘ লক্ট্রমি ’ , বাংলায় উচ্চারিত হয় ‘ লোক্খি ’ । কোনো কোনো সংস্কৃত শব্দের মূল অর্থও বাংলা ব্যবহারে বদলে গেছে । যেমন : ‘ অদৃষ্ট ’ শব্দের অর্থ ছিল ‘ দেখা যায় না এমন ' , বাংলায় এর অর্থ ' ভাগ্য ' ।
অর্ধতৎসম শব্দ
যেসব সংস্কৃত শব্দ সংস্কৃত থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় এসেছে অথচ বানানে ও উচ্চারণে সামান্য পরিবর্তন ঘটেছে সেগুলোকে বলা হয় অর্ধ - তৎসম বা ভগ্ন - তৎসম শব্দ । যেমন : সংস্কৃত ‘ গৃহিণী ' শব্দের অর্ধ - তৎসম রূপ হচ্ছে : ‘ গিন্নি ' । এরকম : ' আদ্য → আদ্যি , কৃষ্ণ → কেষ্ট , দস্যু →দস্যি , জন্ম → জনম , জ্যোৎস্না → জোছনা , দর্শন → দরশন , প্রাণ → পরান , পুত্র → পুত্তুর , মিত্র → মিত্তির , রাত্রি → রাত্তির , ক্ষুধা → খিদে , প্রীতি → পিরিতি , তৃষ্ণা → তেষ্টা , নিমন্ত্রণ →নেমন্তন্ন, সত্য → সত্যি , সাধ্য → সাধ্যি, রত্ন → রতন , যত্ন → যতন , সমুদ্র → সমুদ্দুর , শীঘ্র → শিগগির ইত্যাদি ।
এ ধরনের শব্দ সাধারণ মানুষের মুখের কথায় ও কবিতার ভাষায় বেশি ব্যবহৃত হয় ।
তদ্ভব শব্দ
যেসব সংস্কৃত শব্দ প্রথমবার পরিবর্তিত হয়ে প্রাকৃত ভাষায় ব্যবহৃত হয়েছে এবং পরে আরও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে তাদের বলা হয় তদ্ভব শব্দ । ' তদ্ভব ' একটি পারিভাষিক শব্দ । এর অর্থ ' তৎ থেকে ভব ' ; অর্থাৎ ‘ তা থেকে উৎপন্ন ’ । যেমন : সংস্কৃত ‘ চন্দ্ৰ ' প্রাকৃতে হয়েছে ‘ চন্দ ’ , আর বাংলায় হয়েছে ‘ চাঁদ ' । এরকম :
সংস্কৃত/তৎসম | প্রাকৃত | তদ্ভব |
---|---|---|
অদ্য | অজজ | আজ |
চন্দ্র | চন্দ | চাঁদ |
চর্মকার | চম্মআর | চামার |
দুগ্ধ | দুদ্ধ | দুধ |
মৎস্য | মচ্ছ | মাছ |
হস্ত | হণ্থ | হাত |
দেশি শব্দ
যেসব শব্দ বাংলার আদি অধিবাসী যেমন : কোল , ভিল , শবর , মুণ্ডা প্রভৃতির ভাষা থেকে এসেছে বলে অনুমান করা হয় সেগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয় । এ ধরনের অনেক শব্দের মূল বা উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করা যায় । না বলে এদের অজ্ঞাতমূল শব্দও বলে । যেমন : কুকুর , কুলো , খোকা , চিংড়ি , চুলো , ছানা , ঝাঁটা , ঝিঙ্গা , ঝোল , ঝোপ , ডাঙা , ডাব , ডিঙি , ঢেঁকি , ঢেউ , ঢোল , পেট , বাদুড় , মুড়ি ইত্যাদি । বাংলা প্রবাদ - প্রবচনে ও চলিত ভাষারীতিতে দেশি শব্দের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।
বিদেশি বা বৈভাষিক শব্দ
ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরের বিভিন্ন ভাষা থেকে যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে সেগুলোকে বলা হয় বিদেশি বা বৈভাষিক শব্দ বা আগন্তুক শব্দ । এসব শব্দের মধ্যে আরবি , ফারসি ও ইংরেজি শব্দের সংখ্যাই তুলনামূলকভাবে বেশি । এ ছাড়া পর্তুগিজ , ফরাসি , ওলন্দাজ , তুর্কি প্রভৃতি ভাষার শব্দও বাংলায় আছে । আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমার ( বার্মা ) , মালয় , চিন , জাপান প্রভৃতি দেশের কিছু শব্দ বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারে স্থান করে । নিয়েছে । উৎস অনুসারে বৈভাষিক শব্দগুলোকে আলাদা ভাগ করে দেখানো যায় :
ক . আরবি শব্দ : আজব , আজান , আল্লাহ , আদালত , আলাদা , ঈদ , ঈমান , ইশারা , ইসলাম , কবর , কলম , কায়দা , কুরআন , কেয়ামত , খতম , খবর , খালাস , খালি , গরিব , জমা , তফাত , তালিকা , দলিল , নজর , ফকির , মজবুত , মেজাজ , শরবত , সালাম , হাজির , হামলা ইত্যাদি ।
খ . ফারসি শব্দ : অজুহাত , আইন , আঙুল , আবাদ , আমদানি , আরাম , ওস্তাদ , কাগজ , কারখানা , কারবার , কারসাজি , খরচ , খুব , খুশি , গরম , চশমা , চাকর , চেহারা , জোর , দরকার , দরজা , দালান , নালিশ , পরোয়া , বেকার , মজুর , রসিদ , শিকার , সবুজ , আসামি , জবানবন্দি , ফেরেশতা , নামাজ , রোজা , বেহেশত , মুনশি , বাগান , গোলাপ , কিশমিশ , আয়না , দুরবিন , রেশম , ময়দা , সিন্দুক , শিশি , রপ্তানি , আওয়াজ , আবহাওয়া , হাজার ইত্যাদি ।
গ . ইংরেজি শব্দ : অফিস , আপেল , কেক , ক্যামেরা , ক্লাস , গেট , গ্লাস , চেয়ার , টেবিল , স্কুল , কলেজ , ব্যাংক , টেলিভিশন , কম্পিউটার , জেলি , টিফিন , টেলিফোন , পকেট , পিয়ন , পেন , মাইল , সার্কাস , স্লেট ইত্যাদি ।
ঘ. পর্তুগিজ শব্দ : আচার , আতা , আনারস , আলকাতরা , ইস্পাত , কামরা , গামলা , গির্জা , গুদাম , চাবি , জানালা , তামাক , তোয়ালে , নিলাম , পাউরুটি , পেরেক , বালতি , বেহালা , বোমা , মিস্ত্রি , সাবান , আলমারি , পিস্তল , কেরানি , পাদরি , ফিরিঙ্গি , ইংরেজ , ইস্তিরি , পেঁপে , বারান্দা , বোতাম , সাগু , কিরিচ ইত্যাদি ।
ঙ . তুর্কি শব্দ : কাঁচি , কুলি , কোর্মা , খাঁ , চকমকি , তকমা , তোপ , দারোগা , বাবুর্চি , বারুদ , বেগম , বোঁচকা , মুচলেকা ।
চ . ফরাসি শব্দ : বুর্জোয়া , ডিপো , মাদাম , আঁতাত , কার্তুজ , কুপন , গ্যারেজ , রেস্তোরাঁ , রেনেসাঁ , বুফে
ছ. জার্মান শব্দ : নাৎসি , কিন্ডারগার্টেন , নাজি ।
জ . ইতালীয় শব্দ : পিয়ানো , অপেরা , আউন্স , ফ্যাসিস্ট , সোনাটা ।
ঝ . স্পেনীয় শব্দ : ডেঙ্গু ।
ঞ . ওলন্দাজ শব্দ : ইশকাপন , ইস্কুপ , তুরুপ , রুইতন , রতন ।
ট . গ্রিক শব্দ : কেন্দ্র , দাম , সুড়ঙ্গ ।
ঠ . রুশ শব্দ : বলশেভিক , ভদকা ।
ড . জাপানি শব্দ : হারিকিরি , প্যাগোডা , সুনামি , মিতসুবিশি , জুজুতসু , টাইফুন , রিকশা , মাসুরাই , হাসনুহানা ।
ঢ . চীনা শব্দ : চা , চিনি , লিচু , লুচি , এলাচি , সামপান ।
ণ . মালয়ী শব্দ : কাকাতুয়া ।
ত . সিংহলি শব্দ : বেরিবেরি ।
থ . বৰ্মী শব্দ : লুঙ্গি , কিয়াং , ফুঙ্গি ।
দ . অস্ট্রেলীয় শব্দ : ক্যাঙারু , বুমেরাং ।
ধ . দক্ষিণ আফ্রিকান শব্দ : জেব্রা ।
ন . তিব্বতি শব্দ : ইয়াক , লামা ।
প . পেরু ভাষার শব্দ : কুইনাইন ।
ফ . প্রতিবেশী ভাষার শব্দ : ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন ভাষার বহু শব্দও বাংলায় প্রচলিত । যেমন :
( i ) হিন্দি - উর্দু শব্দ : , মিঠাই , তরকারি , কামাই , জলদি , টহল , ডেরা , পানি , সমঝোতা , জাদুঘর , দেখভাল , খানা ( খাদ্য ) , চালু , জাহাজ , আলাল , ওয়ালা , কাহিনি , পুরি জওয়ান , ঝান্ডা , ফালতু , বন্ধ বিমা , মজদুর , রুটি , রুচি , লাগাতার , হাওয়া , হাওয়াই ।
( ii ) গুজরাটি শব্দ : খদ্দর , গরবা , তকলি , বাই , হরতাল ।
( iii ) মারাঠি শব্দ : চামচা ( চ্যালা ) , বর্গি ।
( iv ) তামিল শব্দ : খুকি , খোকা , চুরুট ।
( v ) তেলেগু শব্দ : প্যান্ডেল ।
( vi ) পাঞ্জাবি শব্দ : চাহিদা , শিখ ।
এ পর্যন্ত আলোচিত পাঁচ প্রকার শব্দের বাইরেও দেশি - বিদেশি ভাষার শব্দ সমাসবদ্ধ হয়ে কিংবা বাংলা বা অন্য ভাষার উপসর্গ , প্রত্যয় ইত্যাদি জুড়ে বাংলায় অনেক নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়েছে । এসব শব্দকে বলা হয় মিশ্র বা সংকর শব্দ । এ ধরনের মিশ্রণকে অনেকেই নতুন শব্দ উৎপত্তির একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখে থাকেন । যেমন :
ক) বাংলা + আরবি : কালিকলম , ঝড়তুফান , রাজাউজির ।
খ) বাংলা + ফারসি : রাজাবাদশা , হাটবাজার , ফুলদানি ।
গ) বাংলা + তৎসম : কাজকর্ম , ধানদূর্বা , পাহাড়পর্বত , রাশভারী , হাতযশ ।
ঘ) বাংলা + পর্তুগিজ : ছুতোরমিস্ত্রি ।
ঙ) তৎসম + বাংলা : বজ্রআঁটুনি , শ্বেতপাথর ।
চ) তৎসম + আরবি : ধনদৌলত , নৌবহর , ভোগদখল , হাসিতামাশা ।
ছ) তৎসম + ফারসি : যোগসাজস , লজ্জাশরম , জন্তুজানোয়ার , ধনদৌলত , লোকলস্কর ।
জ) ইংরেজি + বাংলা : পকেটমার , বাক্সপেটরা , মাস্টারমশাই , স্কুলঘর , হেডকেরানি , হাফগেরস্ত।
ঝ) ইংরেজি + তৎসম : অর্ডারকৃত , জেলবন্দি , ভোটদাতা , মোটরযান , রেলপথ , লাটভবন ।
ঞ) ইংরেজি + আরবি : ডাক্তারসাহেব , অফিস - আদালত , পুলিশসাহেব ।
ট) ইংরেজি + ফারসি : হেডমৌলভি , ডাক্তারখানা , ডাক্তারবাবু , সিলমোহর , জেলখানা ।
ঠ) আরবি + তৎসম : আইনসম্মত , খাতিরযত্ন , হিসাবপত্র , হিসাবরক্ষক ।
ড) আরবি + ইংরেজি : উকিল - ব্যারিস্টার ।
ঢ) আরবি + ফারসি : আদমশুমার , ওকালতনামা , কেতাদুরস্ত , বরকন্দাজ ।
ণ) ফারসি + বাংলা : দরাজহাত ।
ত) ফারসি + তৎসম : দরাজহস্ত , আরামপ্রিয় , কাগজপত্র , পর্দাপ্রথা ।
থ) ফারসি + ইংরেজি : কাগজ - পেন্সিল ।
দ) ফারসি + আরবি : খুনখারাবি , খুবসুরত , হুঁকাবরদার , হুকুমবরদার ।
ধ) পর্তুগিজ + বাংলা : পাউরুটি - দুধ , খানাডোবা ।
এক ভাষার শব্দের সঙ্গে অন্য ভাষার প্রত্যয় , উপসর্গ ইত্যাদি জুড়ে গঠিত বেশ কিছু মিশ্র বা সংকর শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে । এ ধরনের শব্দের উদাহরণ :
ক . বাংলা শব্দ + বিদেশি প্রত্যয় : বামুনগিরি , বাতিদান , ঘুষখোর , ঠিকাদার , ফুলদানি ।
খ . তৎসম শব্দ + বিদেশি প্রত্যয় : আশ্বিনতক , দাতাগিরি , ধূপদানি , প্রমাণসই , শিক্ষানবিশ ।
গ . বিদেশি শব্দ + বাংলা প্রত্যয় : খেয়ালি , গোলাপি , জরুরি , মাস্টারি , শহুরে ।
ঘ . বিদেশি শব্দ + তৎসম প্রত্যয় : খ্রিষ্টীয় , নাবালকত্ব ।
ঙ . বিদেশি শব্দ + অন্য ভাষার প্রত্যয় : ডাক্তারখানা , ডেপুটিগিরি ।
চ . বাংলা উপসর্গ + বিদেশি শব্দ : সবুট ।
ছ . বিদেশি উপসর্গ + অন্য ভাষার শব্দ : বেহেড ।
আরো পড়ুন:
- প্রবাদ - প্রবচন কাকে বলে?
- ব্যাকরণ কাকে বলে? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
- বাংলা বানানের নিয়ম বা সহজ বানান পদ্ধতি।
- অনুবাদ কাকে বলে ও অনুবাদ জানা কেন প্রয়োজন?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমাদের নিবন্ধগুলিতে মন্তব্য করার সময় দয়া করে শ্রদ্ধাশীল এবং গঠনমূলক হন। অনুপযুক্ত, আপত্তিকর, বা অফ-টপিক মন্তব্য মুছে ফেলা হবে। আসুন ABC আইডিয়াল স্কুলের সকল পাঠকদের জন্য একটি ইতিবাচক এবং শিক্ষামূলক পরিবেশ বজায় রাখি। আপনার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ!