সারাংশ লিখন: অমঙ্গলকে জগৎ হতে হেসে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করো না , তাহলে মঙ্গল সমেত উড়ে যাবে

অমঙ্গলকে জগৎ হতে হেসে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করো না

সারাংশ লিখন: অমঙ্গলকে জগৎ হতে হেসে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করো না , তাহলে মঙ্গল সমেত উড়ে যাবে

প্রদত্ত অনুচ্ছেদ

অমঙ্গলকে জগৎ হতে হেসে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করো না , তাহলে মঙ্গল সমেত উড়ে যাবে । মঙ্গলকে যেভাবে গ্রহণ করেছ , অমঙ্গলকেও সেভাবে গ্রহণ করো । অমঙ্গলের উপস্থিতি দেখে ভীত হতে পার , কিন্তু বিস্মিত হবার হেতু নেই । যেদিন জগতে মঙ্গলের আবির্ভাব হয়েছে সেদিনই অমঙ্গলের যুগপৎ উদ্ভব হয়েছে । একই দিনে , একই ক্ষণে , একই উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত উভয়ের উৎপত্তি । এককে ছেড়ে অন্যের অস্তিত্ব নেই , এককে ছেড়ে অন্যের অর্থ নেই । যেখান হতে মঙ্গল সেখান হতেই অমঙ্গল । সুখ ছেড়ে দুঃখ নেই । দুঃখ ছেড়ে সুখ নেই । একই প্রস্রবণে , একই নির্ঝর ধারাতে উভয় স্রোতস্বতী জন্মলাভ করেছে , একই সাগরে উভয়ে গিয়ে মিশেছে ।

উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৩টি সারাংশ দেওয়া হল:

সারাংশ লিখন→ ১

এ জগতে মঙ্গল - অমঙ্গল , সুখ - দুঃখ একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত । জগতে অমঙ্গল ও দুঃখ আছে বলেই মঙ্গল ও সুখের মূল্য আমরা অনুধাবন করতে পারি । বস্তুত অমঙ্গলের মধ্যেই মঙ্গল প্রচ্ছন্নভাবে লুকিয়ে রয়েছে ।

সারাংশ লিখন → ২

জগতে মঙ্গল ও অমঙ্গল উভয়েরই প্রয়োজন আছে । মঙ্গল- অমঙ্গল , সুখ - দুঃখ ইত্যাদি পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং মানুষের কল্যাণের নিমিত্তই যুগপৎ উহাদের সৃষ্টি হইয়াছে । অমঙ্গল না থাকলে করো মঙ্গল হত না , দুঃখ না থাকলে কেহ সুখ অনুভব করতে পারত না । মঙ্গল -অমঙ্গল বা সুখ - দুঃখের উৎস একই ।

সারাংশ লিখন → ৩

সংসারে কল্যাণ ও অকল্যাণ , সুখ ও দুঃখ , একই উৎস হতে উৎপত্তি হয়েছে । অমঙ্গল ও দুঃখকে বাদ দিয়ে মঙ্গল ও সুখ আশা করা যায় না । দুঃখকে বরণ করে নিলে তবেই সুখের আশা করা যেতে পারে । অমঙ্গলকে বাদ দিলে মঙ্গলও জীবন হতে উধাও হয়ে যাবে । কাজেই মঙ্গল ও অমঙ্গল পরস্পর নির্ভরশীল ।