সারাংশ: বাল্যকাল হইতেই আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই

বাল্যকাল হইতেই আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই সারাংশ লিখন

সারাংশ: বাল্যকাল হইতেই আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই

প্রদত্ত অনুচ্ছেদ

বাল্যকাল হইতেই আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই । কেবল যাহা কিছু নিতান্ত আবশ্যক , তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি । তেমন করিয়া কোনোমতে কাজ চলে মাত্র ; কিন্তু মনের বিকাশ লাভ হয় না । হাওয়া খাইলেই পেট ভরে না , আহার করিলে পেট ভরে , কিন্তু আহারটি রীতিমতো হজম করিবার জন্য হাওয়া খাওয়া দরকার । তেমনি একটি শিক্ষাপুস্তককে রীতিমতো হজম করিতে অনেকগুলি অপাঠ্যপুস্তকের সাহায্য আবশ্যক । ইহাতে আনন্দের সহিত পড়িতে পড়িতে পড়িবার শক্তি অলক্ষিতভাবে বৃদ্ধি পাইতে থাকে । গ্রহণ - শক্তি , ধারণা - শক্তি , চিন্তা - শক্তি বেশ সহজে এবং স্বাভাবিক নিয়মে ফল লাভ করে ।

উক্ত অনুচ্ছেদর পরিপেক্ষিতে ৪টি সারাংশ দেওয়া হল:

সারাংশ লিখন →১

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ । এ শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীকে পড়া গেলানো হয় মাত্র । তাই শিক্ষা গ্রহণ আনন্দপ্রদ হয় না । আনন্দময় শিক্ষায় মানুষের জ্ঞান ও চিত্তের উৎকর্ষ বৃদ্ধি পায় । তাই শিক্ষাকে আনন্দের অনুষঙ্গ করতে হবে ।

সারাংশ লিখন →২

শিক্ষার সাথে আনন্দের যোগ না থাকলে মনের বিকাশ ঘটে না । শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করার জন্য পাঠ্যপুস্তকের বাইরে নানা ধরনের গ্রন্থ পাঠ করা প্রয়োজন ।এতে পড়ার শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সেই সাথে চিন্তা ও ধারণা শক্তির বিকাশ ঘটে ।

সারাংশ লিখন →৩

আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার গতানুগতিক আনন্দের ব্যবস্থা নাই বলে উহা আমাদের মানসিক বিকাশ সাধনে সহায়ক হয় না । বায়ুর সহায়তায় যেমন আমরা খাদ্য হজম করি , পাঠ্যবহির্ভূত পুস্তকের সাহায্যে তেমনি পাঠ্য পুস্তক আয়ত্ত করা যায় । আনন্দজনক অপাঠ্য পুস্তক পড়ার ফলে পড়ার অভ্যাস , ধারণা শক্তি ইত্যাদি বৃদ্ধি পায় ।

সারাংশ লিখন →৪

শিক্ষা মানুষের মানসিক উৎকর্ষ ঘটায় । তবে আনন্দহীন শিক্ষা কখনোই মনের বিকাশ ঘটাতে পারে না । শুধু পাঠ্যপুস্তকনির্ভরতা নয় , জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য চাই আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা । আর এ আনন্দ লাভ করা যায় পাঠ্যবহির্ভূত বই পড়ে । এতে ছাত্রের জ্ঞান বৃদ্ধি পায় , চিন্তাশক্তি বাড়ে এবং আনন্দও লাভ হয় ।